উপজেলা: মহম্মদপুর
জেলা: মাগুরা
(মহম্মরপুর উপজেলা পরিষদের নিকটে)
রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ বাংলাদেশ মাগুরা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মধুমতী নদীর তীরের একটি প্রত্নস্থান
যানবাহন: সড়ক পথ (পাকা রাস্তা), মাগুরা / ফরিদপুর/নড়াইল জেলা থেকে লোকাল বাস/ মটরযান চালিত বাহন। .
রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ বাংলাদেশ মাগুরা সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মধুমতী নদীর তীরের একটি প্রত্নস্থান যা স্থানীয়ভাবে রাজবাড়ী পরিচিত, যা সপ্তদশ-অষ্টদশ শতাব্দীতে এখানে পত্তন হওয়া উন্নত এক জনপদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুর্শিদাবাদের নবাব সরকারের একজন আমলা সীতারাম রায় এ প্রাসাদ-দূর্গটি নির্মাণ করেছেন, যিনি আমলা থেকে জমিদারি এবং পরে স্বীয় প্রতিভাবলে রাজা উপাধি লাভ করেন।
উপাধি লাভের পর সীতারাম রায় রাজার মতোই রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন এবং সেনাবল বৃদ্ধি করে তিনি পার্শ্ববর্তী জমিদারদের ভূ-সম্পত্তি দখন করেন। তিনি নবাব সরকারের রাজস্ব প্রদান বন্ধ করে স্বাধীন, সার্বভৌম রাজার মতোই জমিদারিতে প্রবর্তন করেন নিজস্ব শাসনব্যবস্থা।
১৬৯৭-৯৮ সালের দিকে মহম্মদপুরে জমিদারির পত্তন করেন। তাঁর জমিদারি পাবনা জেলার দক্ষিণভাগ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এবং বরিশাল জেলার মধ্যভাগ থেকে নদীয়া জেলার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে জানা যায়।
দূর্গের অংশ: কাছারী বাড়ি, দোল মঞ্চ, দশভূজা মন্দির, লক্ষ্মী মন্দির, তোষাখানা, মূল প্রাসাদ, নয়াবাটী ঢিবি, জাহাজ ভিড়া নালা, বিলাশগৃহ, পরিখা, পদ্ম পুকুর, দুধ পুকুর, সাধু পুকুর, নয়াবাটি পুকুর, উত্তর পুকুর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস